রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
স্বরূপকাঠিতে মেয়ের প্রেম ও বিয়ে মানতে নারাজ: জামাই পরিবার মহা আতঙ্কে ॥ হাস মুরগী কবুতরেরও শেষ রক্ষা হয়নি

স্বরূপকাঠিতে মেয়ের প্রেম ও বিয়ে মানতে নারাজ: জামাই পরিবার মহা আতঙ্কে ॥ হাস মুরগী কবুতরেরও শেষ রক্ষা হয়নি

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ কলেজ পড়ুয়া মেয়ের প্রেম ও বিয়েকে স্বীকৃতি না দিয়ে বরং জামাইসহ সমগ্র পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি জামাইর পরিবারকে পথে নামানোর অভিযোগ উঠেছে সোহাগদলের মৃত সোলায়মান প্যাদার ছেলে টিন ব্যাবসায়ী মোঃ হেলালের বিরুদ্ধে।। স্থানীয় সূত্র জানায় একতা বাজারের টিন ব্যাবসায়ী সোহাগদল ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ হেলালের মেয়ে প্রেমের টানো ঘর ছাড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কালামের ছেলে মোঃ মাইনুল হোসেনের সাথে। স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ফজিলা রহমান ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোসাঃ ফারজানা আক্তার কলির (১৭) সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। স্থানীয় লোকজন প্রেমের বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন বিগত সময় থেকেই। কিন্তু মেয়ের বাবা টাকার গরমে কোনমতে মেয়ের প্রেমকে মানতে নারাজ। পারিবারিক ভাবে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বহুবার কড়া শাসন সহ শারীরিক ভাবে মারধরও করেন বাবা। কিন্তু মেয়ে বাবার কোন শাসন মানতে নারাজ ছিল। আর তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০/০২ /২০২১ তারিখে সকাল বেলা মেয়ে অজানার পথে পাড়ি জমায় শিক্ষিত বেকার ছেলের হাত ধরে। মেয়ের ঘর থেকে বের হওয়াই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে জামাই মাইনুল সহ সমগ্র পরিবারের উপর। মেয়ের বাবা টাকার গরমে ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে নেছারাবাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৭/৩০ তথ্য সহ৫০৬ দঃ বিঃ ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফুসলাইয়া, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানের অপরাধে মামলা দেন। মামলায় পুরো অসহায় পরিবারকে নিঃস্ব করার নিমিত্তে মেয়ের জামাই সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মেয়ের বাবার আক্রোশের স্বীকার হয়েছে গৃহ পালিত হাস মুরগী সহ কবুতর। স্থানীয়রা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, হেলালের মেয়ে প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন এবং খুলনা গিয়ে বিয়ে করেছেন। কিন্তু টিন ব্যাবসায়ী হেলালের রেশানলের স্বীকার পুরো পরিবার। এদিকে মামলা হওয়ার পর জামাই পরিবার জজকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন ৪২ দিনের জন্য। কিন্তু আইনের ধারা অনুযায়ী নিন্ম আদালতে আগাম জামিনের কাগজ পত্র সহ হাজির হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু নিন্ম আদালতও জামিন দিয়ে দেয় আগামী ২২/০৫/২০২১ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু প্রতিবাদী মেয়ে নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার আগে নেছারাবাদ থানায় হাজির হন সাহসীকতার সাথে। মেয়ের সাফ সাফ জবাব আমি কোর্টে হাজির হবো কিংবা থানায়। তবে বাবার পরিবারে নয়। কিন্তু বিজ্ঞ নিন্ম আদালত আপাতত মেয়ের কথা চিন্তা করে বাবার হাতে তুলে দেয় লিখিত সই সাক্ষর রেখে। এব্যাপারে এলাকার সাধারণ জনগণ গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, সব কিছুই আইনের ধারায় চলে আসছিলো কিন্তু মেয়ের বাবা টাকার গরমে ধরাকে সরা জ্ঞান করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। মেয়ের জামাই সহ পুরো পরিবার যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ঠিক তখনি মেয়ের বাবা একের পর এক বেআইনি কাজ কর্ম করে সমগ্র বিসনোকাঠী এলাকায় ভীতি সন্তস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আইনেকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জামাই পরিবারকে পথে বসানোরে মিশনে নেমেছে। অথচ মেয়ের জবান বন্দী অনুযায়ী মামলা হয়নি। বরং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৭/৩০ সহ ৫০৬ দঃ বঃ অনুযায়ী ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফুসলাইয়া অপহরণ, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানের ধারায় মামলা করেন। কিন্তু মেয়ের স্পষ্ট ভাষায় লিখিত কপি অনুযায়ী মেয়ে স্বেচ্ছায় প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে। স্বেচ্ছায় নিজের উপলব্ধি থেকে বিয়ে করেন। কারো হুমকি ধুমকি বা কোন প্ররোচনায় ঘর থেকে বের হইনি। তারপরও অহেতুক মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেন অসহায় জামাই সহ ঘোটা পরিবারের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে নিন্ম আদালত থেকে জামিন নিয়ে হেলালের মেয়ের শশুর সহ অন্য আসামিরা বিসনোকাঠী আসে। কিন্তু বাসায় এসে দেখে মেয়ের বাবার তান্ডব লীলার চিত্র। হাস মুরগী সহ কবুতরতো মারা গেছে বহু আগেই। কিন্তু মাঈনুলদের বাসায় এক ধরনের লুটপাট চালিয়েছে ব্যাবসায়ী মেয়ের বাবা হেলাল ও তার বাহিনীর লোকজন। এলাকার বেশির লোকজন অভিযোগ আকারে সরাসরি হেলালের কথা বলেন। ঘরের আসবাবপত্র সহ বহু জিনিসের ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি আলামাবীর মধ্যে রাখা দুই ছেলের জে এস সি এস এস সি ও এইচ এস সির সার্টিফিকেট সরিয়ে ফেলে। কিছু স্বর্ণের জিনিস সহ ৫/৬ টি দলিলও নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী ছেলের পরিবার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। গতকাল জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সরাসরি বিসনোকাঠী গিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটন করেন। প্রতিবেশীরাও সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়ের বাবার বেআইনী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন অকপটে। এ ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, হেলালের মেয়ে প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে। মামলা দিয়েছে জামাই সহ বেয়াই বেয়াইনের বিরুদ্ধে। আর জামাই পরিবার জজকোর্ট সহ নিন্ম আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন। কিন্তু টিন ব্যাবসায়ী হেলাল মেয়ের সাথে না পেরে জামাই পরিবারের ক্ষতি সাধন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর এঘটনা নিয়ে সমগ্র উপজেলার মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। অমানবিক কায়দায় হাস মুরগী সহ কবুতর নিরাশ করে দিয়েছে। এবার জামাই সহ পুরো পরিবারকে তছনছ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে ছেলের বাবা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন। অথচ সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আছে জামিনের পর থেকে প্রশাসন কিংবা অন্য কোন ব্যাক্তি হয়রানি সহ হুমকি ধুমকি দেওয়া অপরাধ। স্থানীয় মেম্বার সহ এলাকার চেয়ারম্যান পুরো বিষয়টি নিয়ে অবগত। টিন ব্যাবসায়ী হেলাল যা যা করে যাচ্ছে তা বেআইনি। এ ব্যাপারে মেয়ের বাবার সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মিডিয়ায় পরিচয় পাওয়ার পর ব্যাস্ত বলে ফোন কেটে দেন। অবশ্য ছেলের বাবা বহু সাংবাদিকদের সামনে সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে বেয়াই হেলালের কথা বলেন। টাকার গরমে এবং হিংসায় আমাদের সাথে অমানবিক কায়দায় মানষিক, অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করার মিশনে নেমেছে। আমি সহ আমার ছেলে, ছেলের বউ ও আমাদের পরিবারকে বাঁচতে দিন। আসলে আমার বেয়াই টিন ব্যাবসায়ী মোঃ হেলালের হাত থেকে আমাদের বাচান আর একথা গুলো গণ মাধ্যমকর্মীদের সামনে বলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com